Dhaka: +88028835174-6; Chattogram: +88 09678 677 688

BARRISTERS | ADVOCATES | LEGAL CONSULTANTS

‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’ শান্তি প্রতিষ্ঠার এক বিরল দৃষ্টান্ত / The Hill Peace Accord

পার্বত্য শান্তিচুক্তি

Published by  The Daily Ittefaq December 2, 2020. (Link Here)

পার্বত্য শান্তিচুক্তি  শান্তি প্রতিষ্ঠার এক বিরল দৃষ্টান্ত – ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে কয়েক দফা সংলাপের পর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিটি একটি ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী চুক্তি। দীর্ঘ সময় ধরে এই সংকটটি কখনোই রাজনৈতিকভাবে সমাধান করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কখনো দমন-নিপীড়ন এবং কখনো অগণতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুদীর্ঘকাল বিরাজমান সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো পার্বত্য জেলায় দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি-বাঙালি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার স্বার্থে শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে আরো অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়িতে জনসংহতি সমিতির প্রায় ২ হাজার সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করে। সরকার তাদের পুনর্বাসন করাসহ পুলিশ ও আনসারে ৬৮৫ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন পদে তাদের নিয়োগ প্রদান করে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই পর্যায়ক্রমে চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিগত ২২ বছরে শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে অধিকাংশ উল্লেখযোগ্য ধারা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন করেছে। চুক্তির অবশিষ্ট বেশ কিছু ধারা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বাকি ধারাগুলো বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। অনেকের মতে, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো মৌলিক অগ্রগতি হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক কুচক্রী গোষ্ঠী সব সময় চক্রান্ত করে আসছে। পাহাড়কে অশান্ত করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল রাখতে নানা উসকানি দিয়ে চলেছে তারা। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর গত ২৩ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির যে উল্লেখযোগ্য ধারাগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেগুলো হলো :ক. ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ভূমি কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভূমি কমিশন কমিশনের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার ভূমিসমস্যা সমাধানের কাজ চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬ জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়ে বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ‘ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা বিধিমালা প্রণীত হলে ভূমি কমিশনে জমা পড়া বিরোধসংক্রান্ত আবেদনগুলোর শুনানি শুরু হবে। খ. শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ. শান্তিচুক্তি করার পরে ২ হাজার ৫২৪ জনের বিরুদ্ধে ৯৯৯টি মামলার তালিকার মধ্যে ৮৪৪টি মামলা যাচাই-বাছাই এবং এর মধ্যে ৭২০টি মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিইয়াধীন রয়েছে। ঘ. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিল-২০১০ জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে। ঙ. ১৯৭৬ সালে জারিকৃত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অধ্যাদেশ বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৪ জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়েছে। চ. চাকরির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নির্ধারিত কোটা অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। ছ. পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাননীয় সংসদ সদস্যকে প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদায় নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। জ. ১৯৯৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে।

শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোয় স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতা বৃদ্ধি এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধন করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বংলাদেশেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, সেটি সকলকে উপলব্ধি করতে হবে। চট্টগ্রামের পার্বত্যাঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘাতময় পরিস্থিতি যুগের পর যুগ বিরাজমান ছিল। সমস্ত উদ্বেগ, শঙ্কা, উত্কণ্ঠার এবং রক্তক্ষয়ী সেই সংঘাতময় পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটে ১৯৯৭ সালের ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে। এই ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে সবাই যৌথভাবে একযোগে কাজ করতে পারলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ সুগম হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের নাম বিশ্ব ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

পার্বত্য শান্তিচুক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার এক বিরল দৃষ্টান্ত

পার্বত্য শান্তিচুক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার এক বিরল দৃষ্টান্ত

পার্বত্য শান্তিচুক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার এক বিরল দৃষ্টান্ত

Best law Firm in Bangladesh, Legal Counsel, Best Lawyers in Bangladesh, Laws of Bangladesh, peace accord, Chittagong hill tracts, CHT Peace Accord

Article

Touch of peace agreement and development

দীপ্ত টিভির বিশেষ টকশো ‘শান্তি চুক্তির ২৬ বছর: অর্জন ও বাস্তবতা’ https://youtu.be/0sfUHph0_e4 Women and girls are victims of torture Women

Read More »

No Trade Ban: Commerce Secretary

বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কিছু নেই: বাণিজ্য সচিব https://youtu.be/nfPDs63Aug0 Women and girls are victims of torture Women and girls are victims

Read More »

Women and girls are victims of torture

১০ মাসে দুই হাজার ৫৭৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যা’ত’নের শিকার | https://youtu.be/XFzsz1zE7-s Women and girls are victims of torture Women

Read More »