Dhaka: +88028835174-6; Chattogram: +88 09678 677 688

BARRISTERS | ADVOCATES | LEGAL CONSULTANTS

Corporate firms are progressing in Legal Compliance sector /  লিগ্যাল কমপ্লায়েনসে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের কর্পোরেট হাউসগুলো

Corporate firms are progressing in Legal Compli

Published by The Daily Ittefaq | October 1, 2018 (Link Here)

 আইন শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে কর্পোরেট আইনজীবী হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেছিলেন ব্যারিস্টার মিতি সানজানা। নিজেকে শুধু কোর্ট ও চেম্বারে বন্দি রাখেননি তিনি। সমাজের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সুবিধাবঞ্চিতদের বিনা মূল্যে বিভিন্ন আইনি সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে অবদান রাখার ক্ষেত্রে সম্প্রতি বেশ আলোচিত হয়েছেন তিনি। মিতি সানজানা দেশের স্বনামধন্য কর্পোরেট ল চেম্বারস ‘লিগ্যাল কাউন্সেল’-এর পার্টনার। লিগ্যাল কাউন্সেল কোম্পানি আইন, ব্যাংকিং আইন, সিভিল আইন, জমিজমা, আরবিট্রেশন, বিদেশি বিনিয়োগ, আই সি টি আইন, শ্রম আইন, চাকুরি সংক্রান্ত আইন, পারিবারিক আইন সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। দেশ ও বিদেশে প্রায় ৫০০-এর ওপর বিভিন্ন দেশি, বিদেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আইনি সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে বিভিন্ন আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য ২০১৭ সালে ১২৭৫ কর্মঘণ্টা ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানটি। আমাদের এবারের আয়োজনে কোম্পানি আইন ও তার জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণদের অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ব্যারিস্টার মিতি সানজানা

তরুণ উদ্যোগ বা ব্যবসার ক্ষেত্রে আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা

একটি ব্যবসা আরম্ভ করতে হবে আইন মেনে এবং প্রতিটি পদক্ষেপে আইন মেনে চললে ভবিষ্যতে সাধারণত কোনো ধরনের আইনগত জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে না। যেকোনো মামলায় জড়িয়ে গেলে তা বছরের পর বছর চলতে থাকে। উভয় পক্ষের জন্য সেটা সময় ও খরচ সাপেক্ষ। এজন্য আগে থেকেই আইনগত বিষয়গুলো মেনে চললে, এ ধরনের পরিস্থিতি বা আইনগত ঝুঁকি কমানো যায়। তাছাড়া কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করতে এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার জন্য আইন মানার কোনো বিকল্প নেই।

লিগ্যাল কমপ্লায়েনসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কর্পোরেট হাউসগুলোর অবস্থান

আগে আমরা বিভিন্ন বিদেশি বা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাঝে আইন মানার বা আইনগত পরামর্শ নেয়ার প্রবণতা বেশি দেখতাম। কিন্তু, আনন্দের বিষয় এই যে আমাদের বাংলাদেশি কর্পোরেট হাউসগুলোও লিগ্যাল কমপ্লায়েনসের বিষয়ে অনেক মনোযোগী ও সজাগ হয়েছে। লিগ্যাল কমপ্লায়েনসে এগিয়ে যাচ্ছে তারাও। বলা যায়, আইন মেনে চলার দিক থেকে তারা দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ স্থাপন করে চলেছে। হ্যাঁ, কথা সত্য যে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং সব ক্ষেত্রে আইন মানার প্রবণতা তৈরি করতে হলে কর্পোরেট হাউসগুলোকে আরও বেশি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে আইটি সেক্টরের ভূমিকা

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে আইটি সেক্টরের ভূমিকা অপরিসীম। ক্ষুদ্র বা বৃহত্ সকল তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছেন। আমরা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর ১২০০ সদস্য প্রতিষ্ঠানকে আইনি সেবা প্রদান করে থাকি। তাছাড়া সদস্যদের জন্য লিগ্যাল কাউন্সেল-এর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বিভিন্ন আইনি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তরুণদের নিয়ে পরিকল্পনা ও ভাবনা

আমি নিজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচুর ক্যাম্পেইন করি। দেশের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা প্রতি সেমিস্টারে এক হাজার শিক্ষার্থীকে আইনগত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। স্বেচ্ছায় তাদের কাজে সহযোগিতা করি। এ ক্ষেত্র
ে আমি তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা বা ফি নিই না। এ দেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যদি এভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে আমরা খুব ভালো একটা ফল পাব। আমাদেরকে পাঠ্যসূচির বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে। মাসে একদিন একটা কর্মশালা হতে পারে। সে কর্মশালা ইভটিজিংয়ের ওপর হতে পারে, পারিবারিক মূল্যবোধের ওপর হতে পারে, অথবা নারীর ওপর সহিংসতার বিরুদ্ধে হতে পারে। এর মাধ্যমে তারা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে।

বেড়ে ওঠার গল্প

আমি খুব সংস্কৃতিমনা পরিবারে বেড়ে উঠেছি। আমার জীবনসঙ্গী ব্যারিস্টার ওমর এইচ খান একজন স্বনামধন্য করপোরেট লইয়ার। উনি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে প্রচুর কাজ করছেন। ডেইলি স্টারের ‘ইয়োর অ্যাডভোকেটস’ কলামে দীর্ঘ ১০ বছর লিখে যাচ্ছেন। উনার সাথে পরিচয় অনেক বছর আগেই। এরপর ২০০৭ সালে পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়। ২০০৯ সালে আমাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। ওর নাম রেখেছি অরিত্র ত্রিদিব খান। সানবিমসে ক্লাস টু-তে পড়ে। অবসর সময়ে গান করি এবং প্রচুর গান শুনি। দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি।

আইন পেশায় নতুনদের জন্য পরামর্শ

আইন পেশা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, অনেক প্রতিবন্ধকতা পার হতে হয়। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, সততা দিয়েই এসব প্রতিবন্ধকতা পার হওয়া সম্ভব। তবে শুধু পেশাগত ক্ষেত্রেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সততা, নিষ্ঠা ও নীতিবোধ ছাড়া সাফল্য অর্জন করা যায় না। অসত্ উপায়ে অর্জিত সাফল্য খুব ক্ষণস্থায়ী হয়। আমি যখন আমার ল চেম্বার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, তখন থেকে আজ অবধি পেশাদারিত্ব ও পেশাদারী মূল্যবোধের দিক থেকে এক বিন্দুও নিজেকে নড়তে দিইনি। নতুন আইনজীবীদের এই মর্মে শপথ নেওয়া উচিত।

ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা

আমাদের প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি চেম্বার। সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আমরা সেবা প্রদান করে থাকি। আমরা প্রতিনিয়তি আমাদের দেশের আইন মানার প্রবণতাকে বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রফেশনাল পর্যায়ে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার দিক থেকে কাজ করে যাচ্ছি, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়াতে চাই। ইন পারসুট অব এক্সেলেন্স, আমরা আন্তর্জাতিক মানের আইনি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে চাই। তাছাড়া আমার মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য একটি সংগঠন করার প্রক্রিয়া চলছে। কারণ, সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করলে বক্তব্যটি আরও জোরালোভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো যায়।

 

Corporate firms are progressing in Legal Compliance sector

Corporate firms are progressing in Legal Compliance sector

Corporate firms are progressing in Legal Compliance sector,

Barrister Miti Sanjana, Barrister Miti Sanjana’s interview on young lawyers, Biography, advice to young lawyers

Article