Dhaka: +88028835174-6; Chattogram: +88 09678 677 688

BARRISTERS | ADVOCATES | LEGAL CONSULTANTS

Emotional abuse and remedies against women /

নারীর প্রতি মানসিক নির্যাতন ও প্রতিকার

Emotional abuse and remedies against women

Published by  The Ittefaq  August 20, 2018. (Link Here)

Emotional abuse and remedies against women – আমাদের দেশে নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতার মাত্রা ও ভয়াবহতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে আজও আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে। কিন্তু আজও দেশের বিরাট এক জনগোষ্ঠী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত এবং নিজ পরিবারে সহিংসতার শিকার। নারীদের সুরক্ষার জন্য অনেকগুলো বিশেষ আইন রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকেরই এই আইনগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই। তাদের মধ্যে অনেকেই অনেক সময় বুঝতে পারেন না তারা কোথায় যাবেন বা কী করবেন। যার ফলে তারা প্রতিনিয়ত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০

পারিবারিক সহিংসতা থেকে নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১০ সালে এই আইনটি প্রণীত হয়। এই আইন-এর ধারা ৩-এ পারিবারিক সহিংসতার সংজ্ঞা ব্যাখ্যাসহ দেয়া হয়েছে। ধারা ৩-এ বলা হচ্ছে- পারিবারিক সহিংসতা বলতে পারিবারিক সম্পর্ক আছে এমন কোনো ব্যক্তি দ্বারা পরিবারের অপর কোনো নারী বা শিশু সদস্যের উপর শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন অথবা আর্থিক ক্ষতিকে বোঝাবে। এই আইনটির একটি চমত্কার দিক হলো, প্রথমবারের মতো মানসিক নির্যাতনের বিষয়টি আইন দ্বারা একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আমাদের দেশে অনেকেই জানেন না যে, মানসিক নির্যাতন পারিবারিক সহিংসতার সংজ্ঞায় পড়ে এবং দেশের আইন অনুযায়ী এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ধারা ৩(খ)-তে মানসিক নির্যাতন কিভাবে হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন—মৌখিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, ভীতি প্রদর্শন বা এমন কিছু বলা, যা দ্বারা একজন ব্যক্তি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হলে তা পারিবারিক সহিংসতার সংজ্ঞায় পড়বে। এছাড়াও কাউকে হয়রানি করা, তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা, স্বাভাবিক চলাচল, যোগাযোগ বা ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা মতামত প্রকাশের উপর হস্তক্ষেপ করাও মানসিক নির্যাতন হিসেবে গণ্য করা হবে। কোনো শিশু বা নারী যিনি পারিবারিক সম্পর্ক থাকবার কারণে পরিবারের অপর কোনো সদস্য কর্তৃক মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বা সহিংসতার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, এই আইন অনুযায়ী তারা প্রতিকার চাইতে পারবেন। আইনটিতে শিশু বলতে ১৮ বত্সর বয়স পূর্ণ হয়নি এমন কোনো ব্যক্তিকে বুঝানো হবে।

এই আইন-এর আরেকটি বিশেষ দিক হলো আইনটিতে প্রথমেই আদালত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন না। আদালত নিম্নলিখিত বিভিন্ন আদেশ দিয়ে থাকেন:

আদালতের কাছে যদি মনে হয় যে, নির্যাতনকারী ব্যক্তির সাথে একই বাড়িতে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার সন্তানের জন্য নিরাপদ নয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সম্মতি নিয়ে আদালত ঐ ব্যক্তির জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারে। এমন কি আদালত তার জন্য বিকল্প বাসস্থান বা বাসস্থানের ভাড়া দেবার জন্য প্রতিপক্ষকে সুরক্ষামূলক আদেশ দিতে পারে।
ধারা ১৪-তে বলা আছে- ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিপক্ষকে নিম্নবর্ণিত কাজ করা থেকে বিরত থাকার আদেশ প্রদান করতে পারবে :-
(ক) পারিবারিক সহিংসতামূলক কোনো কাজ করা থেকে;
(খ) পারিবারিক সহিংসতামূলক কাজে সহায়তা করা বা প্ররোচনা;
(গ) নিপীড়িত ব্যক্তির কর্মস্থল, ব্যবসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্যকোনো প্রতিষ্ঠান বা যেখানে তিনি সচরাচর যাতায়াত করেন সে স্থানে প্রবেশ;
(ঘ) নিপীড়িত ব্যক্তির সাথে ব্যক্তিগত, লিখিত, টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ই-মেইল বা অন্য কোনো উপায়ে যোগাযোগ;
(ঙ) নিপীড়িত ব্যক্তির আত্মীয় বা অন্য কোনো ব্যক্তি, যিনি তাকে পারিবারিক সহিংসতা থেকে রক্ষার জন্য সহায়তা প্রদান করেছেন সেসব ব্যক্তির প্রতি সহিংসতামূলক কাজ।

নিপীড়িত ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারবে। একজন নিপীড়িত নারী ও তার সন্তানের নিরাপত্তার জন্য আদালত প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে নিরাপদ হেফাজতে রাখার আদেশ দিতে পারবে।

আদেশ অমান্য করার শাস্তি:

আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, পারিবারিক সহিংসতা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা আছে, তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পক্ষে উপরোল্লিখিত যেকোনো আদেশ দিতে পারে। পরবর্তীকালে এই আদেশ অমান্য করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

আদালতের কোনো আদেশ বা এর কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে একজন ব্যক্তি এর জন্য অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অপরাধ পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে তিনি অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

যে আইনটি নিয়ে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম এই আইনের অধীনে একজন ভুক্তভোগী নারী এবং শিশু বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু এই আইনটির অধীনে কী কী সুবিধা আছে সে সম্পর্কে সবাইকে আরো অনেক বেশি সচেতন করতে হবে। অনেক সময় একজন নির্যাতিত ব্যক্তি উপলব্ধিও করতে পারেন না যে তার প্রতি এ ধরনের নির্যাতন দেশের আইন অনুযায়ী একটি অপরাধ এবং এর প্রতিকারও আছে। মানসিক নির্যাতন যে পারিবারিক সহিংসতা সে বিষয়ে সবাইকে অবগত করতে হবে।

পারিবারিক সহিংসতায় শুধু একজন নির্যাতিত নারী আক্রান্তই হন না, যে শিশু ‘পারিবারিক সহিংসতা’ দেখে বড় হয়, এর ব্যাপক প্রভাব দ্বারা তার মানসিক স্বাস্থ্যও প্রভাবান্বিত হয় এবং সে সহিংসতাপ্রবণ হয়ে বেড়ে ওঠে। কাজেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ, প্রচার এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের একটি সুন্দর ও সুস্থ আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।

লেখক: ব্যারিস্টার অ্যাট ল’, লিংকন্স ইন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং মানবাধিকার কর্মী

Emotional abuse and remedies against women

Emotional abuse and remedies against women

Emotional abuse and remedies against women,

Women, mental harassment, violence against women, prevention of harassment.

Article

Mountain peace is democracy

পাহাড়ের শান্তি | জনতন্ত্র গণতন্ত্র | https://youtu.be/QgGcvRGD_Ak Women and girls are victims of torture Women and girls are victims of

Read More »