Published by |The Daily Prothom Alo | March 24, 2021 (Link Here)
প্রশ্ন: আমি ২৫ বছর ধরে বিবাহিত। আমার দুটি সন্তান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে ছোটখাটো মনোমালিন্য লেগেই থাকে। তাঁর সঙ্গে আমার মনের মিল না হলেও কোনো দিন তেমন গুরুতর সমস্যা হয়নি। ২০১৬ সালে জানতে পারি তিনি একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছেন। জিজ্ঞাসা করলে তিনি মেয়েটির কথা অস্বীকার করেন। এরপর থেকে প্রায়ই তিনি কাউকে কিছু না বলে দুই–তিন দিনের জন্য বাসার বাইরে চলে যান। প্রতি সপ্তাহে তিনি বাসার বাইরে থাকেন।
এ বছরের শুরুর দিকে হঠাৎ জানতে পারি ২০১৬ সালে তিনি মেয়েটিকে গোপনে বিয়ে করেছেন এবং সেই ঘরে তাঁর দুই বছর বয়সী একটি সন্তান আছে। এসব জানার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। মেয়েটি অত্যন্ত সুশ্রী, মেধাবী এবং আমার স্বামীর চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। কিন্তু সে আমার স্বামীর প্রথম বিয়ে ও সন্তানদের কথা জেনেও এই সম্পর্কে জড়িয়েছে এবং তাকে বিয়ে করেছে।
আমার স্বামী আমাদের জানিয়েছেন আমার প্রতি সব দায়িত্ব তিনি পালন করবেন। তবে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। কারণ, তিনি মেয়েটিকে খুব ভালোবাসেন। আমার স্বামী আলাদা বাসায় তাঁদের রেখেছেন এবং সব খরচ তিনি বহন করেন। বেশির ভাগ সময় মেয়েটির সঙ্গেই বসবাস করেন।
আমাকে না জানিয়ে তিনি পুনরায় বিয়ে করেছেন, এই বিয়ে বৈধ কি? সেই ঘরে যে সন্তান হয়েছে, সে আমার স্বামীর অবর্তমানে তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবে কি না?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
উত্তর: ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬ ধারা অনুযায়ী বহু বিবাহের জন্য বর্তমান স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো ব্যক্তি যদি সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেন, তাহলে ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইনের অধীনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের সম্পূর্ণ দেনমোহর তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করতে হবে। স্ত্রী ও সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিয়ের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে এক বছর কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
তবে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বা পুনরায় বিয়ে করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, কিন্তু বিয়েটি অবৈধ নয়। কাজেই আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে আপনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন, তবে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ হবে না। যেহেতু এই বিয়ে বৈধ কাজেই একজন স্বামী ও পিতা হিসেবে তাঁকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও নাবালক সন্তানের ভরণপোষণ দিতে হবে। আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই, যেহেতু আইনের চোখে এটি একটি বৈধ বিয়ে, কাজেই বাবার মৃত্যুর পর শিশুসন্তান তার বাবার সম্পত্তিতে একজন উত্তরাধিকার হিসেবে পরিপূর্ণ অধিকার লাভ করবে।
Muslim Marriages and Divorces (Registration) Act-1974, Divorce law, Divorce, Muslim Marriage Registration, Bangladesh, Kabinnama, Nikahnama
Drop Your Queries
Dhaka Office
Chattogram Office
Dhaka Office Map
Chattogram Office Map