Dhaka: +88028835174-6; Chattogram: +88 09678 677 688

BARRISTERS | ADVOCATES | LEGAL CONSULTANTS

Legal notice to stop production of Indian movie “Faraaz” /বলিউডে হলি আর্টিজান নিয়ে সিনেমা না বানাতে আইনি নোটিশ

Published by Daily Samakal | August 13, 2022  (Link Here)

 ২০১৬ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশের হলি আর্টিসানের মর্মান্তিক জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে ‘ফারাজ’-নামে কোন চলচ্চিত্র বা নির্মাণ না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। 

ভারতের টি-সিরিজ (ভূষণ কুমার হানসাল মেহেতা) এবং অনুভব সিনহাকে এ নোটিস দেওয়া  হয়েছে।

শুক্রবার নোটিস পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন নোটিশ প্রদানকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা। 

 

তিনি জানান, অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক রুবা আহমেদের পক্ষে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়েছে বলিউডের টি-সিরিজ। ছবিটির নাম রাখা হয়েছে ‘ফারাজ’। এই চলচ্চিত্রটি ভারতের বিখ্যাত নির্মাতা ভূষণ কুমার (প্রয়াত গুলশান কুমারের পুত্র) এর প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ থেকে প্রযোজনা করা হবে বলে জানা গেছে। এর সাথে সহকারী প্রযোজক হিসেবে আছেন আরেক বিখ্যাত প্রযোজক অনুভব সিনহা। এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে প্রয়াত শশি কাপুর এর দৌহিত্র জাহান কাপুর অভিনয় করবেন বলেও তারা ঘোষণা দিয়েছেন।

হলি আর্টিজানের হামলা হামলায় নিহত হন ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি তরুণ ফারাজ আহমেদ। ফারাজ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় এমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে দেশে এসেছিলেন। তার নামেই ছবিটির নাম রেখেছে টি টিরিজ। সম্প্রতি ছবিটির একটি পোস্টারও প্রকাশিত হয়েছে। 

নোটিসে বলা হয়, ‘রুবা আহমেদ ২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিসানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তার একমাত্র সন্তান মরহুমা অবিন্তা কবিরকে হারিয়েছেন। অবিন্তা কবির ছিলেন তাদের একমাত্র সন্তান এবং তার বেদনাদায়ক মৃত্যু তার পরিবারের সদস্যদের জীবনকে নিদারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ফলে তারা প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিনযাপন করছেন। সকলের কাছে যা কেবল একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড, তা অবিন্তার মা এবং তার পরিবারের জন্য এক চরম দুর্ভাগ্য এবং নির্মম সত্য। যা তারা প্রতিনিয়ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বয়ে চলেছেন। হলি আর্টিসানকে কেন্দ্র করে কোনরূপ মিডিয়া  নির্মাণের মাধ্যমে সে সকল ঘটনা আবার জনগণের মাঝে প্রচার করলে, তা কেবল সেই দুর্ঘটনার করুণ এবং কষ্টদায়ক স্মৃতিগুলোকেই আবার জাগিয়ে তুলবে, যা অবিন্তার মা এবং তার পরিবার প্রতিনিয়ত ভুলে থাকার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

তাই ওই নোটিসে, ‘ফারাজ’ চলচ্চিত্রটির সঙ্গে জড়িত সকল প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, কলাকুশলী, মিডিয়াসংস্থা, মিডিয়া বিতরণকারীসংস্থা, লেখক, স্ক্রিপ্ট-লেখকগণকে হকি আর্টিসান ঘটনাকে তুলে ধরে বা এমন কোনো চরিত্রকে বর্ণনা করে যার সাথে অবিন্তা কবিরের প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ সাদৃশ্য রয়েছে, সেই রুপ যেকোনো প্রকার পূর্ণ বা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, টেলি-ফিল্ম, নাটক, নাটিকা, উপন্যাস, গল্প ইত্যাদির রচনা, প্রযোজনা, পরিচালনা, বিতরণ, বিপণন, উপস্থাপন, প্রকাশনা, অভিনয় ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এমন ধরনের কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ বা বাংলাদেশেকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপনা করে এমন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতেও নোটিসে অনুরোধ জানানো হয়েছে।  

এরপরও এ বিষয়ে যদি কোন নির্মাণ কাজে কেউ লিপ্ত হন, তাহলে সকল লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় আদালতে প্রতিনিধির মাধ্যমে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

মিতি সানজানা বলেন, ‘ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে ‘ফারাজ’ নামে বলিউডে সিনেমা নির্মাণ বন্ধের জন্য বাংলাদেশের অবিন্তা কবিরের পরিবারের পক্ষে আমরা একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। এর আগে মহেশ ভাটসহ অনেক দেশি ও বিদেশি নির্মাতা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে।’

তিনি আরও জানান, ৯ আগস্ট ‘লিগ্যাল কাউন্সেল’-এর পক্ষ থেকে টি-সিরিজ, হানসাল মেহেতা এবং অনুভব সিনহাকে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।এটি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। তাছাড়া সিনেমা নির্মাণের আগে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকেও কোনো ধরণের অনুমতি নেয়া হয়নি।

legislation in relation to data protection

legislation in relation to data protection

legislation in relation to data protection

privacy,
tor,
personally identifiable information,
data,
technology,
legal,
political,
software,
fraud,
marketing,
email,
expectation of privacy,
computer security,
data security,
information security,
i2p,
computer hardware,
personal information,

Article