Dhaka: +88028835174-6; Chattogram: +88 09678 677 688

BARRISTERS | ADVOCATES | LEGAL CONSULTANTS

Online fraud of financial services /

সম্প্রতি ফেসবুকে প্রত্যেক বিকাশ অ্যাকাউন্টধারীর করোনাকালীন প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেখতে পাই

Online fraud of financial services

Published by The Daily Prothom Alo  2 September, 2020.  (Link Here)

প্রশ্ন: সম্প্রতি ফেসবুকে প্রত্যেক বিকাশ অ্যাকাউন্টধারীর করোনাকালীন প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেখতে পাই। আমিও প্রণোদনা পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্টের সব তথ্য দিই। কিন্তু এটি ছিল আসলে প্রতারণা। ওই ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমার অ্যাকাউন্টের সব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। টাকাগুলো ফিরে পাওয়া আমার জন্য খুবই দরকার। কারণ, আমার মেয়েদের সারা জীবনের বৃত্তি, পুরস্কার ও উপহারের টাকা ওই অ্যাকাউন্টে ছিল। অনলাইনে প্রতারণার ব্যাপারে আইন কী বলে? আইনের সাহায্যে কি আমি টাকাগুলো ফিরে পাব? ওই প্রতারকের বিকাশ নম্বর আমার কাছে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

উত্তর: অনলাইনে নানা ধরনের প্রতারক চক্র সব সময় সক্রিয় থাকে। কাজেই যাচাই না করে এ ধরনের তথ্য দেওয়া অত্যন্ত বোকামির কাজ। সব সময় এ ধরনের প্রতারণা থেকে সাবধান হওয়ার জন্য টিভি, রেডিও ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সতর্ক করা হয়। এ ধরনের তথ্য দেওয়া একেবারেই অনুচিত। অনলাইন প্রতারণাকে ‘সাইবার ক্রাইম (অপরাধ)’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এ ব্যাপারে সরকারের অধীন আছে ‘সাইবার সিকিউরিটি ও অপরাধ বিভাগ’। তারা এসব প্রতারণার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। আপনি সংশ্লিষ্ট সব তথ্যসহ সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করতে পারেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, ১৯ ধারা অনুযায়ী, বেআইনিভাবে যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম হতে কোনো উপাত্ত, উপাত্তভান্ডার, তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি সংগ্রহ করেন, তাহলে সর্ব্বোচ সাত বছরের কারাদণ্ড; জরিমানা ১০ লাখ টাকা।

যেহেতু একটি অসাধু চক্র প্রতারণার মাধ্যমে আপনার টাকা আত্মসাৎ করেছে, কাজেই আপনি ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে সিআর (নালিশি) মামলা করা যায়। এ ছাড়া থানায় এজাহার হিসেবেও মামলার সুযোগ রয়েছে।

আদালতে সরাসরি মামলা করলে আদালত জবানবন্দি নিয়ে সরাসরি সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি আমলে না নিয়ে পুলিশ বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলতে পারে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত আমল গ্রহণ করে আদেশ দেন।

এমনি থানাতেও অভিযোগ জানানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে থানা কর্তৃপক্ষ এ–সম্পর্কিত অভিযোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারে। দণ্ডবিধি ধারা ৪২০ অনুযায়ী, এ ধরনের অপরাধের শাস্তির মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবে।

পাঠকের প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞের উত্তর

জীবনযাপনে নানা বিষয়ে নানা রকম প্রশ্ন জাগে মনে। অনেক সমস্যাও তৈরি হয়, যা সবার কাছে বলা যায় না। স্বাস্থ্য, মন, সম্পর্ক, সন্তান পালন, খাদ্যাভ্যাস, ডায়েট, আইন–অধিকার—এসব বিষয়ে যেকোনো প্রশ্ন পাঠাতে পারেন প্র অধুনার কাছে। ‘পাঠকের প্রশ্ন’ বিভাগে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দেবেন খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা।

 

পাঠকের প্রশ্ন পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে। ই–মেইল ঠিকানা: [email protected]

(সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’)

ডাক ঠিকানা: প্র অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন

২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’)

ফেসবুক পেজ: fb.com/Adhuna.PA

 

Online fraud of financial services

Online fraud of financial services

Online fraud of financial services

Best law Firm in Bangladesh, Legal Counsel, Best Lawyers in Bangladesh,  Laws of Bangladesh, financial transaction, online fraud, information

Article

Mountain peace is democracy

পাহাড়ের শান্তি | জনতন্ত্র গণতন্ত্র | https://youtu.be/QgGcvRGD_Ak Women and girls are victims of torture Women and girls are victims of

Read More »